অদ্ভুত বৃক্ষের আত্মকথা
বিশেষ একটি রাতে, বৃষ্টি বড়ই ভারী ছিল। আকাশে মেঘের ছায়া দিয়ে মাটি পরিপূর্ণ আবহে স্বপ্নের মত দেখত। রাতের শেষে পুরকোনা গ্রামের একটি পুরানো বাড়িতে একটি ছোট পালা মেয়ে, মনোনিবেশ করে পড়ে। নানা ভয়াবহ ধোপে বেলায় বাসা থেকে বের হয়ে এসেছিল। সবাই তার পরিচয় পেতে চেষ্টা করে, কিন্তু সে শুধু হাত ছুঁয়ে গেল। আবারো তার কোন মিল হয়নি।
বেলা হয়ে যাচ্ছে, আবারো সে বেরিয়ে যাচ্ছে। আবার ঐ পুরানো বাড়ির দিকে যেতে দেখতে, তখন সে দেখতে পেতে, সেখানে একটি বেড়ানো অদ্ভুত কুর্চি দেখতে পেছে। অনেক ভয়াবহ সুরে ভাসা করা আসছে। সে পালা মেয়ে সেখানে যাচ্ছে বলে শুনতে আসে।
সে কুর্চির দিকে যেতে দেখতে পেতে, তার সামনে একটি বড় বৃক্ষ রয়েছে। বৃক্ষটির কাছে গিয়ে তাকে দেখতে পেতে, সে একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পেতে। বৃক্ষের কাছে একটি ছোট মহিলা শরীরের সাথে অমৃত পান করছে। মনে হয় সে একজন ব্যক্তিত্বের প্রকাশ যার আশেপাশে ভূত ঘোরা যাচ্ছে।
মেয়েটির চোখে ডাক্তারের মত জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ হতে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু তার চেহারার উল্লেখযোগ্য অংশ হল তার চোখগুলি নেত্রিকা মতো সবুজ। তার মুখে একটি অদ্ভুত হাসি রয়েছে, যার আগে কোন মানুষ নিয়ে চুম্বন আবিষ্কার করে নি।
সে বলে, "আপনি চিন্তিত হচ্ছেন না। আমি আপনার ক্ষতি করতে চাই না। আমি শুধু এই বৃক্ষের পানি পাচ্ছি এবং আমার যাত্রা অবস্থান থেকে বের হতে পারতে।"
তারপর সে বলে, "আমি যে এই কুর্চি তৈরি করছি, সেটি যে একটি মহাশক্তি সৃ
ষ্টি করেছে যা এই গ্রামটির উপকারে আসবে।"
মেয়েটি তার দিকে তাকাতে থাকতে, তার কাছে একটি পুরাতন বই দেখা যাচ্ছে। তা দেখে, সে বুঝতে পারে যে কুর্চি কিছু আত্মা বিশেষ সংলগ্ন করতে পারে যা সম্পূর্ণ মনুষ্য নয়।
বইটির পাতা খুলে যাচ্ছে, তার দৃষ্টি একটি চিত্রে পড়ে যাচ্ছে - কোন আদিবাসী শব্দ বলছে এবং তার হাতে কিছু লিখতে বলছে এবং তার মুখ বন্ধ করতে বলছে। মেয়েটি এটি দেখে বুঝতে পারে যে কোন প্রয়োজনে সে বৃক্ষের মাধ্যমে অদ্ভুত শক্তি ব্যবহার করতে পারে।
মেয়েটি একটি প্রকারের বাংলা ভাষায় কিছু পড়তে শুরু করতে দেখতে পেতে, তার দিক থেকে একটি ভীষণ উত্তেজনা অনুভব হচ্ছে। মনে হয়, এই বইটি কোন অদ্ভুত জগতের দরজা খুলতে পারে, যা সাধারণ মানুষের মাথা অতিক্রম করতে পারে।
Comments
Post a Comment